আপনি জানলে হয়তো অবাক হবেন বাংলাদেশে এখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা সরকারি হিসাবে সাত কোটিরও বেশি। ইন্টারনেটের সুবিধা আমাদের জীবন ধারাকে সহজ করেছে ঠিকই, কিন্তু এর কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহারে ঝুঁকির বিষয়গুলো সম্পর্কে না জানার কারণে অনেকেই আজকাল নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। সত্যি বলতে আজকের দিনে মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য সবচেয়ে মূল্যবান। গুঞ্জন রয়েছে আমেরিকার পার্লামেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পিছনে ব্যাক্তিগত তথ্য চুরির এক অনবদ্য অবদান রয়েছে। ভেবেই দেখুন আপনার ব্যাক্তিগত তথ্য কতো টা মূল্যবান !
সেই ভিত্তিতেই প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সফটওয়্যার, অ্যাপ তৈরি করে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, আর এগুলোর মাধ্যমে কখনো সরাসরি, কখনো কৌশলে আবার কখনো প্রতারণার মাধ্যমে তথ্য চুরির কাজটি করা হচ্ছে। আর এই কাজটি করছে ইন্টারনেটভিত্তিক প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই। সম্প্রতি দেশের অন্যতম শীর্ষ রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম পাঠাও পর্যন্ত তার অ্যাপসের মাধ্যমে ব্যবহার কারীদের সংবেদনশীল তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করেছে। যা কিনা জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও হুমকি স্বরুপ হয়ে দাড়িয়েছে। এদেশের সাধারণ মানুষ কেবলমাত্র ইন্টারনেটের বৈশিষ্ট্য দেখেই মুগ্ধ, ভেতরে কী চলছে তা জানার চেষ্টাটুকুও কেউ করেনা।
আপনি যখন কোন অ্যাপ ইন্সটল করেন তখন আপনার ব্যাক্তিগত তথ্যগুলো কী কী কাজে ব্যবহার করা হবে, তার বর্ণনা দেয়া থাকে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নীতিমালায়। এই ব্যাখ্যার সঙ্গে একমত হলেই কেবল সেখানে ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা এবং অ্যাপটি ব্যবহার করা উচিত। তবে বেশির ভাগ ব্যবহারকারী এই দীর্ঘ নীতিমালা পড়েন না এবং না পড়েই অনুমতি দিয়ে দেন। যার ফলে ইন্টারনেট ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো খুব সহজেই আপনার মহা মূল্যবান ব্যাক্তিগত তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে পারে। এই ছোটখাটো ব্যাপারগুলোতে সবার সাবধান হওয়া উচিত। বিশ্বাসযোগ্য ডেভেলপার হলে এক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দেয়া যায়, কিন্তু আপনি যখন অপরিচিত কোনো ডেভেলপারের অ্যাপ ব্যবহার করবেন, তখন এই ছোট ব্যাপারে দৃষ্টি না দিলেই নয়। যাই হোক, ইন্টারনেটের নিরাপত্তা রক্ষার্থে বেশ কিছু ব্যাপারে সচেতন থাকলেই যথেষ্ট, সেই সচেতন হওয়ার ব্যাপারগুলো নিয়েই চলুন